হায় আধুনিকতা!
-রাণা চ্যাটার্জী
যত বেশি স্বাধীনতা তত দেখছি এর অপব্যবহার। চায়ের দোকানে এঁটো বাসন মাজা ছেলেটার বাড়িতে ভাত ফুটানোর জোগাড় আছে কিনা ঠিক নেই, হকার দাদাটার কাল কি করে চলবে চিন্তায় নেই কপালে ভাঁজ কিন্তু পকেটে এন্ড্রয়েড মোবাইল আর ডেলি ফ্রি ডাটা মজুত। হোক আটা দামি বয়েই গেল, নেট দুনিয়ায় রগরগে ভিডিওর প্রতুলতা বুঁদ করে রেখেছে শিক্ষিত অশিক্ষিত ছোট বড় সকলকে। প্রকাশ্যে ঘুরছে যৌন উস্কানি ভিডিও রমরমা।অশ্লীলতার মোড়কে পণ্য জাত হচ্ছে নারী শরীর। এ যেন মগের মুলুক স্বাধীনতা, যখন যাকে খুশি যা খুশি ভাবে করায়ত্ত করার প্রচেষ্টা আর বাধা পেলেই নোংরা তকমায় বিদ্ধ।
কি দেখতে হয় আর কি দেখার বয়স হয় নি এই লক্ষণ গন্ডি ধুয়ে মুছে সাফ। পরশু খবরে পড়লাম মফস্বল ছোট শহরে এক মধ্য বয়স্ক ঠান্ডা মাথায় প্রতিদিন বিভিন্ন বাড়ি ঢুকে মহিলাদের খুন করতেন আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন। শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ভয়ঙ্কর অপরাধ প্রবণতা। স্কুল বাচ্চা প্রায়শই ধর্ষণের শিকার, সদ্যজাত ঝলসে উঠছে লালসার আগুনে, বৃদ্ধা হোক মধ্যবয়সী সে হোক নান কিংবা ভিখারি সবাই টার্গেট এই নর পিশাচ আবহাওয়ায়। তবে কি কোথাও নিরাপদ নয় আমরা, আমাদের মহিলা, শিশু কন্যা মহল?
কিসের আমাদের বড়াই তবে? রুচি সংস্কৃতির দোহাই। দেওয়াল জুড়ে মনীষীদের বাণী নিভৃতে কাঁদে। সদা জাগ্রত প্রশাসন কি করবে মনের মধ্যে যদি অপরাধ প্রবণতার বিষাক্ত লেলিহান আষ্টেপৃষ্টে বাঁধে আমাদের। সম্প্রতি ফুলের মতো একরত্তি শিশু তিন বছরের টুইঙ্কেলকে যেভাবে নৃশংসতার সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় খুন করে ফেলে দিয়ে যাওয়া হলো শিহরণ বয়ে গেল ঠান্ডা রক্ত স্রোতের।দেখ কেমন লাগে আর কত ভয়ঙ্কর হতে পারি আমরা এই বার্তা প্রকাশ্যে খুল্লম খুল্লা ছোবল মারছে। “দেশ বাঁচাও বেটি বাঁচাও স্লোগানের ছত্রছায়ায় মা বাবার স্নেহ ভালোবাসায় হাসি খুশিতে বড়ো হওয়া শিশু কন্যার এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি কিসের পূর্বাভাস সত্যিই জানা নেই। কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফোঁপরা করে দেশকে ছিবড়ে করা আর সামান্য ধার করে ফেলে তাগাদাকারীর হুঙ্কার, বীভৎসতার নমুনা দেখে বড় গা সওয়া এ আধুনিক জীবন।
সহমত হলাম আপনার লেখাটির সঙ্গে।
ভালো লিখেছেন ।